গাইবান্ধায় আলোচিত হাসান হত্যা মামলার রায় প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রায় দেন গাইবান্ধা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর। রায়ে প্রধান আসামি মাসুদ রানাসহ অভিযুক্ত সব আসামিকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয় বিজ্ঞ আদালত। এরআগে গাইবান্ধার গোরস্থানপাড়া এলাকার জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গত ২০২১ সালের ১১ই এপ্রিল গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম। মামলায় উল্লেখ করেন, প্রধান আসামি মাসুদ রানার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে হাসান আলী মারা যায়। এ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে উক্ত মামলার চার্জশীট জমা দেন আদালতে। আদালত সাক্ষীর সাক্ষ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী একত্রে বিশ্লেষণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবিরা। তবে আদালতে স্বাক্ষীগ্রহণ কালে মামলার বাদী বিথী বেগম স্বীকার করেন, তার স্বামী হাসান আলীকে আত্মহত্যা করার জন্য কেউই তাকে প্ররোচনা দেননি। খালাসপ্রাপ্ত মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা বলেন, হাসান আলী তার ব্যবসা পরিচালনা করার সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঋণগ্রস্থ হন। সেই টাকার জন্য পাওনাদাররা হাসান আলীকে চাপ দেয়। তাদের চাপে হাসান আলী আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা দেয়। এ মামলায় আমার অপুরর্ণীয় ক্ষতি হয়েছে। সামাজিক মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসে আত্মহত্যা।