মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয় দফার ভারী বর্ষণে আলু চাষিদের চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জেলায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে চরম শঙ্কায় পড়েছে এ জেলার হাজারো আলু চাষিরা৷ তবে কৃষকরা জমির পানি সরাতে প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না কমায় তাদের চেষ্টাও কোনরুপ কাজে আসছেনা। এতে করে বড়ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে আলু চাষিদের মধ্যে। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বৃষ্টিতে সদ্যরোপন কৃত হাজার হাজার হেক্টর আলু রোপণকৃত জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে চরম ভাবে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জেলার হাজারো আলু চাষিরা। ফলে চলতি অর্থবছরের আলু উৎপাদন লক্ষমাত্র অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার অধিকাংশ কৃষিজমিতে আলো রোপন কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি কারনে তাদের রোপণ কৃত আলু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে। ইতিমধ্যে জেলার ৭০ ভাগ জমিতে আলু রোপণ শেষ হয়েছে৷ কৃষকরা জানান,ধার দেনা কর্জ করে আলু রোপণ করতে হয়। তবে বৃষ্টিতে সব শেষ করে দিচ্ছে। এর আগেও প্রথম দফার বৃষ্টিতে জেলার অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এবার দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে হাজার হাজার কৃষক সর্বস্বান্ত হতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন। গোড়াপীপাড়া গ্রামের আলী আহাম্মদ বলেন,এবার আমি ৮০ শতাংশ জমিতে আলু রোপন করেছি। এখন বৃষ্টিতে সব আলুর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এতে করে আমার প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে । যদি রোপনকৃত বীজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আবার বীজ কিনে লাগাতে হবে, কিন্তু যেভাবে বীজের দাম দিন দিন বারছে তাতে করে সমস্যায় াারো পরতে হবে। বাক্স আলু ৯ হাজার টাকা ছিলো একন ১৩- ১৪ হাজার টাকা হয়েছে। নাটেশ্বর গ্রামের বাদল মীর বলেন, প্রথম দফার বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেটা কাটিয়ে না উঠতেই এখন দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে সর্বস্বান্ত হওয়ার শঙ্কায় পরেছি। আমরা ধার দেনা কর্জ করে প্রতিবছর আলু রোপাণ করে থাকি। তবে এবার বৃষ্টিতে আমরা সর্বস্বান্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে জমিতে বৃষ্টির পানি আটকে না থাকে। সেজন্য পানি অপসারনের চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া কৃষক আলী ইসলাম, জুয়েল, শহিদ হাওলাদার, শরীফ বেপারী জানান, তারা কেউ ভোর রাতে এসে আলু বীজ তৈরী জমিতে পলিথিন দিয়ে ঢেকেছেন। কিন্তু কানিতে কানিতে জমি ঢাকা সম্ভব না। কেউ সকাল থেকে সেচের ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন। কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি হলে কছিুতেই জমি রক্ষা করা যাবে না। আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে,জেলার এবার ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ জমিতে আলু রোপন শেষ হয়েছিলো। তবে যে ভাবে ভাড়ী বৃষ্টি হচ্ছে এতে করে আলু লক্ষ মাত্র অর্জিত না হওয়া শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে জেলায় কি পরিমান আলু জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা যায়নি।