প্রতিটি দেশেই নিজস্ব বিষয়ে কিছু নীতি থাকে। এমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে নিজস্ব নীতি রয়েছে। মার্কিন ভিসা নীতির প্রয়োগ নিয়ে তখনই আপত্তি হয় যখন এই নীতিটি আমাদের দেশের নির্বাচন পরিচালনার উপর প্রয়োগ করা হয়। কেননা আমাদের নির্বাচন সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব বিষয়।

একান্ত আলাপচারিতায় এমনটি বলছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ, নেতা তমিজউদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম। দৈনিক নবচেতনাকে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব বিষয়ে বাইরের কোন দেশের হস্তক্ষেপ অনেকটা অপমানের শামিল। আর এ কাজটি আমেরিকানরা করছে সম্পূর্ণ ভুলের উপর দাঁড়িয়ে। বিএনপি ক্ষমতার লোভে মরিয়া হয়ে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পেরে বিদেশীদের কাছে নিজেদের দেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে এ কাজটি করতে সহায়তা করেছে। এজন্য বিএনপিকে দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আশার বিষয়ে এই যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আমাদের জাতীয় নির্বাচনে কোনই প্রভাব ফেলবে না। সারা দেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে জাতীয় নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এবং এই নির্বাচনে দেশের জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটবে।

ক্ষমতার পালাবদল শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বিএনপির-জামাত শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করছে। তবে তাদের এই চক্রান্ত দেশবাসী বুঝে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন মুখী। এই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকবে নাকি অন্য কেউ এসে ক্ষমতা গ্রহণ করবে তা শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। অন্য কোন উপায়ে যদি কেউ চিন্তা করে থাকে তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।

এ প্লাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই নেতা আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন অর্থনৈতিক লেনদেনের কাজ সারতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র ও তাঁর আইটি উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় সারাদেশকে ডিজিটালাইজেশন এর আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে মানুষ অত্যন্ত কম সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে সক্ষম হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে মানুষের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অতি কম সময়ে মানুষ বেশি কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। যে কারণে দ্রব্যমূল্য বেশি মনে হলেও তা দেশবাসীর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। মাঝে মাঝে বিএনপি জামাতভুক্ত একদল সিন্ডিকেট বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে দ্রব্যমূল্যকে ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সরকার এ বিষয়ে সাথে সাথেই তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে দেশবাসীকে দ্রব্যমূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে কাজ করে থাকে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিচার করলে আমাদের অর্থনীতি এখনো জনবান্ধব।

সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত হলে চৌদ্দগ্রাম বাসীর জন্য তিনি কি করবেন জানতে চাইলে দৈনিক নবচেতনাকে বলেন “আমি চৌদ্দগ্রামের সন্তান। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হলে ইনশাল্লাহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। কেননা চৌদ্দগ্রামবাসীর সাথে সেই শৈশবকাল থেকেই আমি আছি চৌদ্দগ্রামবাসীর তা অজানা নয়। এবং নির্বাচনে জয় লাভ করে সংসদ সদস্য হলে আমার এলাকার মানুষদের দেশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহীত প্রকল্প গুলোর পরিপূর্ণ সুবিধা যাতে আমার এলাকার মানুষ পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করবো।