মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, ঘিওর উপজেলায় পয়লা ইউনিয়নের কান্দাকুষ্টিয়া গ্রামের সাহেব আলীর বাড়ি হতে মহর আলীর বাড়ি পর্যন্ত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিখা প্রকল্পের ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ পান পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হারুন-অর-রশীদ। সরজমিনে গত শনিবার রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ করার কথা থাকলেও তা শেষ করেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সভাপতি। এই অনিয়মকে আড়াল করার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পে উল্লেখিত সাহেব আলীর বাড়ি থেকে মহড় আলীর বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ শেষ করতে পারেনি তারা। উল্লেখিত প্রকল্পের মহর আলীর বাড়ি পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও, ভরাট করা হয়েছে চান্নু বেপারীর দোকান পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তার কাজ বাকী সেখানে কোন মাটিই পড়েনি। কাবিখা প্রকল্পের রাস্তার মাটি শ্রমিক দিয়ে ভরাট করার নিয়ম থাকলেও তা মানেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সভাপতি। মাটির পরিবর্তে পার্শবর্তী কালিগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি ভরাট করা হয়েছে এই রাস্তাটিতে। নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসানোর কারনে হুমকীর মুখে পড়েছে আশেপাশের গ্রামের মানুষের বসত ভিটা ও কৃষি জমি। কান্দাকুষ্টিয়া গ্রামের মতিয়র রহমান বলেন, রাস্তায় মাটি ভরাটের আগেই রাস্তার অবস্থা ভালো ছিল। এখন বালু দিয়ে রাস্তা ভরাটের কাজ করায় কোন গাড়ি আসতে পারে না। যে পরিমান মাটি ভরাট করার কথা ছিল সে পরিমান মাটি ভরাট না করে রাস্তায় বালু ফেলেছে চেয়ারম্যান। একই গ্রামের জিল্লুর রহমান, সোলায়মানসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এখানে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকার বালু ভরাট করা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। চেয়ারম্যান ও সরকারী অফিসাররা মিলে কিছু টাকার কাজ করে বাকি টাকা খেয়ে ফেলেছে। এজন্যেই কাজ শেষ করার আগেই কয়েক জায়গায় ধসে গেছে। পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্ত প্রকল্পের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ বলেন, এ বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে কোন কথা বলবোনা। যদি কিছু জানার থাকে তাহলে প্রকল্প ব্যস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নিবেন। এ বিষয়ে প্রকল্প ব্যস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে যদি কোন অনিয়ম পাই তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।