
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌরসভাস্থ জালিয়াপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়/অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানের দক্ষিণ জালিয়াপাড়ায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি একটি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৩টি মোবাইল ফোন এবং ০৫টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। সাইফুল ইসলাম (১৯), পিতা-মোঃ ইউনুছ, মাতা-চেতরা খাতুন, সাং-দক্ষিণ জালিয়াপাড়া ওয়ার্ড নং-০৯ এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ২। রিয়াজ উদ্দিন (১৭), পিতা-সামসুল আলম, মাতা-আয়েশা খাতুন, সাং-চৌধুরীপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৭, উভয় পৌরসভা-টেকনাফ, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই আরও দুইজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদ্বয় স্বীকার করে। এছাড়াও জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে বড় বড় ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও সীম কার্ড ব্যবহার করে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ তারা নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।