মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মানদীতে বাল্কহেড থেকে যুবলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজির দায়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সরকারী বালু মহালের ইজারাদার মের্সাস দেওয়ান কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো: আলমগীর হোসেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই, ২০২৩) অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ধুলশুড়া বাজার হতে পশ্চিম দিকে পদ্মা নদীর র্পূবে অনুমান ৩ শত গজ দূরে আমার বালু মহাল থেকে বালু বহনকারী ১০/১২ টি বাল্কহেড পৌঁছানো মাত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান, যুবলীগ নেতা মোঃ ফরিদ মোল্লা, মোশারফ হোসেন খান, দেলোয়ার হোসনে দেলু, রিফাত চৌধুরী, রিতান মোল্লা, মোঃ সোহাগ, ইমারত হোসেন, সিদ্দিক হোসেন, রিপন মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন বেআইনীভাবে জনতাবদ্ধে চলতি বাল্কহেডের গতিরোধ করে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জতি হইয়া বাল্কহেডের সুকানি ও শ্রমিকদের নিকট প্রতিটি বাল্কহেড হতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগণ রামদা, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে। যার ফলে বাল্কহেডের সুকানি সহ ৮/১০ জন শ্রমিক আহত হয়। এতে মেহেন্দীগঞ্জ বাল্কহেডের সুকানি ইউনুস মিয়া মারাত্মকভাবে জখম হয়। মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ ফরিদ মোল্লা লোহার রড ও চাপাতি দিয়ে সুকানি ইউনুস সহ শ্রমিকদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে বাইরাইয়া মারাত্মক জখম করে সেই সাথে তারা প্রত্যকেটা বাল্কহেড হতে শ্রমিকদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোঃ লুৎফর রহমান পিস্তল ঠেকিয়ে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের মে মাসে মোঃ লুৎফর এই বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পদ্মা নদীতে গোলাগুলরি ঘটনা ঘটায় যা ঐ সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মোঃ লুৎফরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে হররিামপুর থানাধীন পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে একই কায়দায় তারা চাঁদা দাবি করিয়া আসিতেছে। এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, উল্লেখিত ঘটনার দিন আমি সারাদিন হরিরামপুর উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম। অভিযোগের ঘটনাটি কাল্পনিক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হরিরামপুর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার আদিত্য বার্তা বাজারকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।