মানিকগঞ্জে সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে মোস্তফাসহ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে. এম. ফিরোজকে চাঁদা না দেওয়ায় দোকান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রসাশক বরাবর গত ২০ আগষ্ট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর মা জহুরা বেগম। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার দুই ছেলে দির্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থাকে। তাদের কষ্টের টাকায় ভাড়ারিয়া বাজারে ২ শতাংশ জমি কিনে। সেই জমিতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে দোকান নির্মান করে। স্থানীয় মোস্তফা বাজারে দোকান নির্মান করার কারনে আমাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় আমাদের দোকান ভাংচুর করে। তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে এম ফিরোজের আদেশে গত ১৯ আগষ্ট অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে দা, চাপাতি, কুড়াল, হাতুরী দিয়ে আমাদের দোকানটি ভাংচুর করে। স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে গেলে ফিরোজ বলেন আমার কাছে কোর্টের নির্দেশ আছে। আমাদের প্রান নাশের হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, মোস্তফা একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ। এলাকায় ডলারের ব্যবসা করে। দির্ঘদিন ধরে মোস্তফা আমাদের পরিবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত করছে। গত ৬ মাস আগে আমার স্বামী দোকানের সামনে গেলে মোস্তফা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা না দেওয়ার করনে আমাদের দোকানটি ভাংচুর করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। ভাংচুর ও চাঁদার বিষয়ে মোস্তফা জানান, আমি চাঁদা ও ভাংচুরের বিষয়টা জানি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পুর্ন মিথ্যা। শুনেছি জমিটা সরকারী। এ বিষয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে. এম. ফিরোজ বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। দোকানটি সরকারী খাস জায়গায় হওয়ায় এলাকাবাসী ভেংগে দিয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তারের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।