কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন গাজীপুরে আপনাদেরকে বলবো দাওয়াত খেয়ে যান। কিন্তু, গাজীপুরের মানুষকে আপানার থ্রেট দিয়েন না। আপনারা যুদ্ধ করতে আনবিক বোমা ব্যবহার করছেন। আর আপানারা নেতা আমরা কর্মী। কোন সংস্থা দিয়ে, কোনো পেশী শক্তি দিয়ে আপানারা কর্মীর বাসায় দিনে রাতে যাচ্ছেন, থ্রেট দিচ্ছেন, মোবাইল করছেন। এটাকে ভোটের পরিবেশ বলে না। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা (মালেকের বাড়ী) এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আমার মা জায়েদা খাতুন। আমার মা উনি একজন সংগ্রামী নারী। তিনি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। জন্মের পর থেকেই আমার মা আমাকে ছাত্রলীগ করার জন্য, আওয়ামীলীগ করার জন্য যে শিক্ষা দিয়েছেন। সে শিক্ষা নিয়ে আমি গাজীপুরে আওয়ামীলীগের পরিবার এবং আওয়ামীলীগে থেকে কাজ করেছি। ছাত্র জীবন থেকে আমি আমার সংগঠনের আদর্শ নিয়ে নিয়ম নীতির বাহিরে কোনোদিন চলি নাই। আমি ৬ বছর গাজীপুর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে ২০১৮ সালে নৌকা দিয়েছে। সেই নৌকা নিয়ে আমি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেছি। আওয়ামীলীগসহ নগরবাসী সবাই আমাকে ভোট দিয়েছে, সহযোগীতা করেছে-আমি নির্বাচিত হয়েছি। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাজ হচ্ছে সে কোন এক দল থেকে মনোনীত হয়। যখন সে নির্বাচিত হয়ে যায় তখন সে সব মানুষের কাজ করে দেয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাজ থেকে শিক্ষা পেয়েছি। কারণ আমি জনপ্রতিনিধি, আমি মুসলমান। কোনো মানুষ মারা গেলে সে জানাযায় সব মানুষ উপস্থিত হয়। সেখানে দলের পরিচয় থাকে না, মানুষ হিসেবে মানুষের পরিচয় থাকে। কিন্তু আমি যখন মেয়র নির্বাচিত হয়েছি দলমত নির্বিশেষে এ শহরের সবার কাজ করে দিয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পর যেখানে আমার গাজীপুরের কোনো মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। কিন্তু একজন মানুষ আমার বিরুদ্ধে বলেছে। সকল নেত্রীবৃন্দ আমাকে বলেছে তুমি কোন অন্যায় কর নাই। তোমার জিনিসটা সমাধান হয়ে যাবে আমরা বলবো। কিন্তু দু:খের বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেউ সঠিক খবরটি পৌছায়নি এবং উপস্থাপন করেনি। মেয়র থাকা অবস্থায় আমি যেসব কাজ করেছি সব কাজ সরকারি নিয়ম মেনেই করেছি। তারপরও আমার মেয়র পদ বাতিল বা স্থগিত হয়ে গেলে। আমার উপর যে অবিচার করা হয়েছে দলের গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এবং মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক তারা কেউ ২ মিনিট আমার কথা শুনার সময়টুকু তাদের হয়নি বা তাদের কাছে আমাকে পৌছানোর কোনো পথ তৈরি করে রাখা হয় নাই। শুধু আমার বিরুদ্ধে নালিশ দিয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস আমি চোখের পানি ফেলেছি, আজকে চোখের পানি ফালাব না। আমি আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় প্রত্যেক নেতার দরজায় আমি গিয়েছি। কিন্তু কেউ আমাকে সুযোগ দেয়নি। নেতৃত্ব হচ্ছে যদি কর্মী বিপদে পড়ে তাহলে নেতৃত্বে যারা আছেন তারা আলোচনা করে সমাধানের পখ খুঁজে বের করা। আজকে দেখেন গাজীপুরে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঐক্য হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সবাই কেন্দ্রীয় কমিটি একসাথে হয়ে গাজীপুরে ভোট করতে আসছেন। আপনারা যুদ্ধ করতে যেখানে আনবিক বোমা ব্যবহার করতে আসছেন সেখানে আনবিক বোমার কোনো দরকার ছিল না। আমি ও আমার মা’র সাথে যারা একসাথে কাজ করছেন আজকে আমাদের নেতৃবৃন্দের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন, প্রশাসনের লোকদের দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। প্রশাসনের লোক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যারা টেবিল ঘড়ি মার্কায় যারা কাজ করছেন তাদের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন। এতে আপনারা সরকারের মুখে বিষ ঢেলে দিচ্ছেন না? আমি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সত্যটা জানান। তিনি সত্যটা জানুক। উনার নেতাকর্মীর উপর এখানে হয়রানি করা হচ্ছে, অবিচার করা হচ্ছে। সেজন্য আমার মা আমকে বলেছেন তোমার উপরে যে অবিচার করা হয়েছে গাজীপুরে ১২ লাখ ভোটার এবং ৪০ লাখ মানুষের উপর অবিচার করা হয়েছে। তিনি বলেন আজমত উল্লা কে মনোনয়ন দিয়েছে। সে আমার ক্ষতি করার জন্য জড়িত ছিল। সত্য জানার জন্য আজকে সকল পাওয়ার চলে গেছে, রাষ্ট্রের সকল পাওয়ার চলে গেছে। দলেও সকলে চলে গছে। তারপরও আমারা মা-সন্তান দাঁড়িয়েছে। তারপরও কেন কর্মীর ওপর অত্যাচার করা হয়। এটা কার জন্য ভালো। তাকে পুনরায় বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন আমি আওয়ামীলীগের একজন সমর্থক। একজন সমর্থককে বহিষ্কার করতে আপনাদের কেন্দ্রীয় কমিটি কেন লাগবে? আমি আবেদন করব আমাকে দলের সমর্থক হিসেবে থাকার জন্য আমাকে জায়গা করে দেন। ক্ষমতার জন্য না, পদের জন্য না। আমার বিরুদ্ধে যে অবিচার করা হয়েছে সেই সত্যটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি আমার মায়ের সাথে রয়েছি। ইভিএম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন ইভিএম ভালো না খারাপ সেটা আগামী ২৫ মে দেখতে পারবেন। তখন আপানার’ই বলবেন ভালো না খারাপ।