নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অনিয়ম, দূর্নীতির মাধ্যমে চৌমুহনী গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কমিটি গঠনের সাথে জড়িত বলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও দূর্গাপুর এলাকার বাসিন্ধা নুর আলম ছিদ্দিকী মাসুদ। অভিযোগে বলা হয়, কোন প্রকার ভোটার তালিকা না করে, নোটিশ না দিয়ে, অভিভাবকদের অবহিত না করে গোপনে গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। বিগত প্রায় ২ বছর এডহক কমিটি দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। উক্ত এডহক কমিটির সদস্যদের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ নতুন কয়েকজন যুক্ত হয়ে নির্বাচন বিহীন ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন যাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। বিগত দিনে তিনি সভাপতি থাকা কালে বিদ্যালয়েরই ৮ম শ্রেনীর এক সংখ্যালঘু ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণ করেন। যা নিয়ে সে সময় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ছাত্রীর অভিভাবকের মামলায় জেলও খাটেন উক্ত গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে বর্তমানে আবারও সভাপতি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবাকরা।
একাধিক অভিভাবক জানান, যার কাছে বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী নিরাপদ নয়, তিনি কিভাবে বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়টি সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে গঠিত তথাকথিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে পূনরায় স্বচ্ছ ম্যানেজিং কমিটি গঠনের দাবী জানানো হয়েছে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে।
লিখিত অভিযোগকারী নুর আলম ছিদ্দিকী মাসুদ জানান, আমরা আশ্চর্য হয়েছি যে, কি ভাবে সম্ভব হয়েছে, কাউকে না জানিয়ে এভাবে কমিটি করার। আমি সাবেক সদস্য হিসেবেও বিষয়টি জানার অধিকার আছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমরা উক্ত বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ফারুক ভ্ইূঁয়া বলেন, আমি একটু বাসায় ব্যস্ত আছি, পরে সরাসরি কথা বলবো। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। সভাপতি প্রার্থী একজনই ছিলেন, তাই ফারুক ভূঁইয়া সভাপতি হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গাউছুল আজম বলেন, রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমার যা কিছু করার সব প্রক্রিয়া করে প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি কমিটি এনে দিয়েছেন আমরা অনুমোদন দিয়েছি। যেহেতু এখন অভিযোগ উঠেছে তাই বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নেয় সে আলোকে আমরা কাজ করবো। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, কমিটি গঠনে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসলে অবিশ্যই আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।