কুষ্টিয়া পৌরসভা সিসি ক্যামেরা, একাধিক নাইটগার্ড ও কেয়ার টেকার দ্বারা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মেয়রের কক্ষ থেকে নথি ও ফাইল চুরি বিষয়টি নিয়ে নানামনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে পৌরসভার নাইটগার্ড কিংবা কেয়ার টেকারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো কর্মচারীদের আন্দোলনের নামে মাঠে নামিয়ে মূল অপরাধীদের আড়াল করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। টেন্ডার নিয়ে নাটকীয়তার সাথে তারাও গা ভাসাতে চাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা মেয়রের অফিসের ফাইল কিংবা নথি চুরি করে চোরের কি লাভ? চোর ঐ ফাইল কিংবা নথি দিয়ে কি করবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মুখে মুখে। এদিকে সাধারণ মানুষের সন্দেহের তীর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর দিকে। তিনি দুর্নীতির দায়ে দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ জেল থেকে জামিনে বেরিয়েছেন। এই নির্বাহী প্রকৌশলী তার পুরো সময়টায় কাটাচ্ছেন কুষ্টিয়া পৌরসভায়। মন্ত্রনালয় থেকে তার বদলী অর্ডার আসলেও তিনি হাইকোর্ট করে আবার এখানে বহাল রয়েছে। জনমনে প্রশ্ন কি মধু তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভায় পেয়েছেন? নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাবাদ করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে অনেকের ধারণা। ফাইল বা নথিতে এমন কি ছিলো যা গায়েব করার জন্য এই চুরির নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অফিসের ভেতরের লোক ছাড়া এরকম চুরি সম্ভব নয়। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে।