পৃথক ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতাল ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ওই গুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নারীর নাম নুর কায়েস (২৫)। তিনি বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. নজুমউদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহতরা হলেন- বালুখালী ৮-ইস্ট ক্যাম্পের বাসিন্দা আরাফাত হোসেন এবং ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা করিম উল্লাহর ছেলে ও প্রধান কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি) মো. আব্দুর রহিম (৩৮)।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সকালে নুর কায়েস নিজ ঘরে অবস্থানকালে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎই এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে নুর কায়েসসহ আরাফাত নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নুর কায়েসকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বেলা ১১টার দিকে ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিজ ঘরের অদূরে আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত রহিমের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীকালে চিকিৎসকের পরামর্শে আব্দুর রহিমকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।