![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ঝড়ে ৬ টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুত লাইন লন্ডভন্ডসহ ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গত রবিবার (১৯ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আশা প্রবল গতিতে শিলাবৃষ্টি ও আকস্মিক ঝড়ে প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়িসহ জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জানা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যতিক খুঁটি। নষ্ট হয়েছে কৃষি জমির সাড়ে ৩ শত হেক্টর জমির ধান, ২ হেক্টর পাট, ৩ হেক্টর তিল ও ২৭ হেক্টর শাকসবজীসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকের ঘরবাড়ি ঝড়ে নষ্ট হওয়ায় রাত্রীযাপনের জন্য ঠাই পাচ্ছে না। দেখা গেছে যাদুরচর ইউনিয়নেও মাজেদ মিয়ার বাড়ির বসত ঘরের উপর বিশাল গাছ পরলেও কোনো মতে প্রাণে বেঁচে যায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে। উপজেলার যাদুরচর নতুন গ্রামের মাজেদ মিয়া বলেন, ধার দেনা করে একটি নতুন ঘর তুলেছিলাম আমি। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে ঘর তছনছ হয়েছে। একই ভাবে কুটিরচর গ্রামের শামেজ উদ্দিন বলেন, আমার ঘরের চালটি উড়ে গেছে। এ ব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম মাহমুদুল হাসান বলেন, রাতে ঝড়ের কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশকয়েকটি এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জরুরীভাবে লোকজন দিয়ে খুটি ও তার ঠিক করা হচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাসছুদ্দিন বলেন, ঝড়ে উপজেলার সব কয়েকটি ইউনিয়নে ক্ষতি হয় ২ শ ৫০টি পরিবারের। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্ পরিবারদের তালিকা করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, আমি সকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের তালিকা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।