গোপালগঞ্জে শীতকালেও ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকেরা। যথেচ্ছা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা গোপালগঞ্জ ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লি: (ওজোপাডিকো) এর নিত্তনৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস আদালত ও বাসা বাড়িতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। মানুষ চরম অস্বস্তি ও ভোগান্তিতে ভুগছে। বিদ্যুৎ সেবা পেতে অভিযোগ নাম্বারে ফোন করলেও সাড়া দিচ্ছে না অফিস কর্তৃপক্ষ।
বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেয়েছেন কোমলমতি শিশুরা। শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেলেও লোডশেডিংয়ের প্রকোপে রাতে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। এদিকে গোপালগঞ্জে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে ১০-১৫ বার। বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকো। আবার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিটি সংযোগ সার্ভিস তার লুস কালেকশন করে দেয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের লো-বোল্টেজের কারণে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জের সুশীল সমাজের অভিযোগ, শীত মৌসুমেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অস্বস্তিতে ভুগছেন। শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমলেও হঠাৎ করে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা। গত কয়েকমাস ধরে গোপালগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন তারা।
গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আমিনুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে গোপালগঞ্জ সাবস্টেশন গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।’