সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির সম্ভাব্য হজ কোটা রাখার কথা জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ওই প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। যা ২০১৯ সাল নাগাদ বেড়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে দাঁড়িয়েছিল। যদিও করোনা মহামারির কারণে ২০২২ সালে সৌদি নিষেধাজ্ঞার মাঝে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে ৬০ হাজার ১৪৬ জনে দাঁড়ায়।
তবে ২০২৩ সালে হজযাত্রীর সম্ভাব্য কোটা বেড়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হচ্ছে জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায় হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ১৪৮ শতাংশ। যা সরকারের সাফল্যের একটি মাইলফলক বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে হজে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। ২০২০ সালে সৌদি আরবে বাসকারী মাত্র এক হাজার মানুষ পেয়েছিল হজের অনুমতি। গত বছর সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় অনুমতি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার মুসলিম। সবমিলিয়ে গতবার বিশ্বের অন্তত ১০ লাখ মানুষ অংশ নেন হজে। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ হজে অংশ নিয়েছিলেন। আর মোট অংশগ্রহণকারীর ৮৫ শতাংশই ছিল বিদেশি নাগরিক।