খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির আয়োজনে ১০ দফা দাবি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রুপরেখা বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিনিধি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি কার্যালয় হলরুমে কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
মাহবুব আলম সবুজ সঞ্চলানায় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১০ দফা দাবি জানাচ্ছি। বর্তমানে এদেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার গুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার উন্নয়নের নামে কোটি কোটি তারা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক মানুষ তাদের অধিকারের কথা বলতে না পেরে অসহায় জীবন অতিবাহিত করছে। মেট্রোরেল লাইনের এখনো ৭০ ভাগ কাজ শেষ করতে পারিনি। এখন তাড়াহুড়ো করে বিদেশীদের আকর্ষিত করার জন্য উদ্বোধন করেছে।
১০ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
১. ১৯৯৬ সালের সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-‘খ,গ ও ঘ’ এর আলোকে দল নিরপেক্ষ একটি অন্তবর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা।
২. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। উক্ত নির্বাচন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসেবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও ব্যালট পেপার এর মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করতে হবে।
৩. দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনকারী সকল মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সকল রাজনৈতিক কারাবন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে।
৫. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
৬. গত ১৫ বছরে বিদেশে অর্থ-পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত দুনীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করতে হবে।
৭. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি বিএনপি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, আবু ইউসুফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক মোশারক হোসেন, অনিমেশ চাকমা রিংকু, আব্দুল মালেক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপি আব্দুল রব রাজা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্ষণি রঞ্জন ত্রিপুরা, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী কুহেলী দেওয়ান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পারদর্শী বড়ুয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ হোসেন সুমন প্রমুখ।