কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে তিনশত বছরের পুরনো গাছ, মানুষ প্রায় ভুলেই যাচ্ছে বটপাইকরের বিয়ে।আধুনিকতার প্রভাবে মানুষ ভুলে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য।আধুনিকতার প্রেক্ষাপটে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল বট পাইকর অজস্র শাখা-প্রশাখা আর শতসহস্র পাতাজুড়ে কালের বিশাল ইতিহাস।
আর সেই বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের মাঝে রয়েছে প্রায় তিন শত বছরের পুরোনো বৃক্ষ। আর এই বৃক্ষকে ঘিরে রয়েছে নানান উপকথা। প্রকৃতি এই অবাক শিল্প উপভোগ করার পাঁশাপাশি গল্প শুনেও আনন্দ পাওয়া যায়। এখনো ওই এলাকার বৃদ্ধদের কাছে শোনা যায় এর ইতিহাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা শুনেছি প্রায় ৩০০ বছর আগে আমাদের গ্রামে এই গাছটি জন্মে। কারো কারো মতে প্রায় ৪০০বছর আগের গল্প হবে, আবার কেউ কেউ একটু আগ বাড়িয়ে ঘটনার শুরু প্রায় ৫০০ বছর আগের কথাও বলে থাকেন।
এলাকাবাসী বলেন, ছাঁয়াঘেরা শীতল পরিবেশ চারপাঁশ। যার দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমরা তো বটেই, যে কেউ মোহিত হবেন। এখন গাছটি শুধু ছায়া দিয়ে যায় না,গাছের নিচে সনাতন ধর্মের মেলা বসলেও এখন আর নেই।
তবে প্রায় ৩ শত বছরের পুরাতন বটবৃক্ষকে বাঁচিয়ে রাখা ও তার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এর ইতিহাস অনেক। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে বৃক্ষটি আজও দাঁড়িয়ে থাকলে প্রায় অর্ধেক অংশ বিলীনের পথে।