আবারও ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদী ফুঁসে উঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বালুর বাঁধ।
গতকাল মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুর ১২ টা পযর্ন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার তিস্তা নদীর বাম তীরের দেড় কিলামিটার দৈর্ঘ্যের বালুর বাঁধের ১০০মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বাঁধের ভিতর দিয়ে পানি চরে প্রবেশ করায় সেখানকার প্রায় দেড়শতাধিক বিঘার আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা পযর্ন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.৭৫) সেন্টিমিটার অর্থাৎ ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । যা সন্ধ্যা পযর্ন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে ।
উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া। এতে তিস্তার চর এলাকাগুলা প্লাবিত হতে শুরু করে। অবশ্য ভারী বর্ষণ ও উজানর ঢলে নেমে আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে তিস্তা নদী।
চরখড়িবাড়ি এলাকার মানুষজন জানায়, তিস্তার বামতীরে যে বালুর বাঁধটি রয়েছে সেটি তারা স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে নির্মাণ করেছিল ৫ বছর আগে। এ ব্যাপারে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল হক জানান, উজানের ঢলে নদীর পানি বাম তীরে চাপ বেশী থাকায় বালুর বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
অপর দিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ২২টি চর প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ভেন্ডাবাড়ি এলাকার আব্দুল জলিল জানান, নদী ভাঙনে ভিটামাটি সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে নদীর পানির স্রোত সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ভিটামাটি আর ঘরবাড়ি হারিয়ে ভেন্ডাবাড়ি এলাকার মনজিলা বেগম জানিয়েছেন, আমার একটা ঘর ছাড়া আর কিছুই নিয়া আসতে পারি নাই। স্রোতে সব ভেসে গেছে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান, তার এলাকার প্রায় ৭০০ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।