ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রামের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ প্রশিক্ষণার্থীদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ৫ই মে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, এমপি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল; সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অঃদাঃ); অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ, ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। এ অনুষ্ঠানে দেশের সামরিক-বেসামরিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, দেশী ও বিদেশী জাহাজ মালিক এবং এজেন্টদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হতে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, মাদারীপুরের স্থাপনাদির নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই মাদারীপুর ইন্সটিটিউট শুভ উদ্বোধন করা হবে। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ২টি ব্যাচে বছরে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। বিশেষ অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রেটিংগণের মধ্য হতে বহু সংখ্যক নাবিক কম্পিটেন্সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার, চীফ অফিসার, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার, থার্ড অফিসার, ৪র্থ ইঞ্জিনিয়ার এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে দক্ষতার সাথে চাকুরী করে আসছেন। অধ্যক্ষ তাঁর বক্তব্যে মাননীয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত অতিথি ও অভিভাবক সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় যে সকল প্রতিষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অল রাউন্ডার হিসেবে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন জনাব কে এম মাইনুল ইসলাম এবং সিলভার মেডেল প্রাপ্ত হন জনাব মোঃ মেহেদী হাসান হিমেল। উক্ত কোর্সে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।