দীর্ঘ দাবদাহ শেষে নেত্রকোনা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার উপর দিয়ে শিলাবৃষ্টি ও মৃদু ঝড় বয়ে গেছে। রবিবার দিনভর রোদ শেষে সন্ধ্যা ও রাতে বৃষ্টি বজ্রসহ ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশ কিছু এলাকায় ধান ঝরে পড়লেও তেমন বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন কৃষকরা। জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলায় শুধু মাত্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হলেও জেলার মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা ও মদন আটপাড়া, কেন্দুয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এতে কৃষকদের ধানের তেমন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপুরে ৫৬০ হেক্টর জমির উপরে শিরাবৃষ্টি পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। আল নোমান জানান, দুর্গাপুরে মোট ১৭ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ৮ হাজার ৬২৪ হেক্টর। এছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু কিছু এলাকায় গাছপালার ডাল ভেঙ্গে পড়লেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানায় কৃষকরা। তবে বৃষ্টি আর বজ্রপাতে সমতলের কৃষকদের ধান কাটতে কিছুটা বেগ পোহাতে হচ্ছে। কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, গড়াডোবা ইউনিয়নের একটি টিনশেড স্কুলঘরের চাল উড়ে গেছে। মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া জানান, নেত্রকোনা মদন সড়কের কিছু গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছিলো সড়কে। সেগুলো দ্রুত সরিয়ে সড়ক পরিস্কার করে দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলায় এবছর ১ লাখ ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে হাওরাঞ্চলে ৪২ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। বাকী রয়েছে সমতলের ধানগুলো। এ ব্যাপারে জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মাদ নূরুজ্জামান জানান, কয়েক জায়গায় ঝড়সহ শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেলেও তেমন ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি। মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। ক্ষতি হয়ে থাকলে পাওযা যাবে।