খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি গ্রামে বজ্রপাতে মা ও শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার (৫মে) ভোর ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দীঘিনালার মধ্য বেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ উদ্বার করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে মা ও ছেলের শরীর অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়ি চালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না। দীঘিনালা থানার ওসি মো: নুরুল হক জানা, ব্রজপাতে ঘরে আগুন লেগে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। লাশের আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড় ইউনিয়নে বজ্রপাতে কংজ্য মার্মা (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। ভোরে উপজেলার ১নং রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া (ডাক্তারপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গনেজ মার্মা ১নং রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্য মার্মার ছেলে। ওই সময়ে ঝড়ে রামগড় বাজার, দারোগাপাড়া ও মহামুনিসহ পাঁচটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ে ভেঙে গেছে বাড়িঘর, ফলের গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমি। হাজাছড়া পাড়া কার্বারী চাইলাপ্রু মার্মা জানান, বজ্রপাতের সময় বাড়ির উঠানে বাঁধা গরু গোয়ালঘরে আনতে গিয়ে বজ্রপাতে গরুসহ তার মৃত্যু হয়। রামগড় থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ বলেন, ‘ব্রজপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’ একইদিন মাটিরাঙ্গার সুমিকা ত্রিপুরা (৩০) নামে এক গৃহিণী নিহত হন। এসময় তার দুই ছেলে আহত হয়। এছাড়া তার ঘরে থাকা তিনটি ছাগল মারা যায়। নিহত সুমিকা ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব খেদাছড়া শশী মোহন কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা সুচেন বিকাশ ত্রিপুরার স্ত্রী। তার দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একদিনে পুরো জেলায় একই সময়ে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার)। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান জানান, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।