ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
এদিন সকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন জোটের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে কাঁটাবন মোড় হয়ে আবার শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন তারা।
সেখানে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা গত ৫ অক্টোবর থেকে ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। এরই অংশ হিসেবে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরি করতে আমরা ঢাকা টু নোয়াখালী শান্তিপূর্ণ লংমার্চ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি।
‘কিন্তু আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের কর্মূচিতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে এবং হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৫ অক্টোবর থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন।
এর অংশ হিসেবে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে নোয়াখালীর পথে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
১৭ অক্টোবর লংমার্চটি ফেনী শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মোড় এলাকায় পৌঁছলে লাঠিসোটা ও ইট নিয়ে লংমার্চে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ৩০ জন আহত এবং ছয়টি বাস ভাংচুর করা হয়।