টেকনাফে চলমান সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে আয়োজিত গণশুনানীতে সাক্ষ্য দিচ্ছে ১২ জন প্রত্যক্ষদর্শী।
সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই গণশুনানী শুরু হয়। এর আগেই সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী ১২ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে নিবন্ধন করে গণশুনানীর নির্দিষ্ট কক্ষে নিয়ে নেয় তদন্ত দল। দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তদন্তকারী দলের সদস্যরা তাদের সাক্ষ্য নিচ্ছেন। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি তদন্ত সূত্র।
জাানা গেছে, শুনানীতে সাক্ষ্য দিতে নিবন্ধনভুক্ত ১২ জনই টেকনাফ বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা। বেলা সাড়ে ১১টা হতে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য গ্রহণ শুরু করে তদন্তদল। শুনানীতে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লে. কর্ণেল সাজ্জাদ, চট্টগ্রামের ডিআইজি মনোনীত অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি উপস্থিত রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টা হতে গণশুনানী স্থলে আসা শুরু করেন সবাই। বক্তব্য দিতে আগ্রহীরা নাম রেজিস্ট্রেশন বুথে যান। গণশুনানী উপলক্ষে মেরনি ড্রাইভের শাপলাপুর এলাকা , ক্যাম্পস্থল এবং আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে সেনাবাহিনী ও অন্য শৃংখলাবাহিনী। বিপুল পরিমাণ গণমাধ্যমকর্মীও এসেছেন ঘটনাস্থলে। আশপাশে তাদের যাতায়াত অবাধ থাকলেও শুনানী কক্ষে গণমাধ্যমের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিনহা হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন তারা। এর মাঝে এ হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নাকি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটেছে। কার নির্দেশে সিনহাকে গুলি করেছিলেন লিয়াকত। ঘটনার সময় আদৌ সিনহার হাতে অস্ত্র ছিল কি না, এসব অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতে, এসব প্রশ্নের জবাব মিললেই ঘটনার সবকিছু স্পষ্ট হবে।