সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরায় গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক তিনটি অভিযানে ৪৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জেলেকে ১ মাস করে কারাদন্ড, ২৪ জেলেকে বিভিন্ন অংকে জমিরানা ও ১১ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু জেলেকে মুচলেকা রেখে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
রোববার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮ থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স পৃথক ৩টি অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন।
এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেন, কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশসহ মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
তিনটি ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইমরান খান ও হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার।
এক মাস করে কারাদন্ড প্রাপ্ত ১২ জেলে হলো- মো. মমিন আলী (৪৫), আল-আমিন সৈয়াল (৩২), শাহজালাল মাল (৬৩), হাসান খান (১৮), রাকিব হোসেন (১৮), মানিক (২২), রাজিব মাল (২৫), হৃদয় মজুমদার (১৯), রাকিব খান (২০), নয়ন (১৮), আরিফ শেখ (২৩), আল-আমিন (৩৫)।
বিভিন্ন অংকে জরিমানা প্রাপ্ত ২৪ জেলে হলেন-শাহাবুদ্দিন (২৮), শিপন (২৮), আনসার খান (২৬), গিয়াস পাটওয়ারী (২৫), রিপন খান (২৪), হাসান গাজী (২০), আল-আমিন (২২), সরাফত গাজী (৩০), মাইনুদ্দিন ঢালী (৩০), শাহাদাত কাজী (৩০), আলমগীর গাজী (৪৫), জয়নাল বেপারী (৬৪), হৃদয় দেওয়ান (২০), ফরহাদ পাটওয়ারী (১৮), ফারুক মোল্লা (২৩), গোলাম রুসুল (৬৩), ওসমান গণি (৬০), রুবেল ঢালী (২২), ইব্রাহীম বেপারী (৬৮), সোলেমান বেপারী (৫৫), মিজানুর রহমান বেপারী (৬০), মো. কালু (৩০), পারভেজ (২২), মরণ বেপারী (৫২)।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া ১১ শিশু জেলেরা হলেন-রাকিব সামি (১৪), নয়ন সরদার (১৪), আবুল হোসেন (১৫), ইব্রাহীম (১৪), হৃদয় গাজী (১৪), বাবুল (১৫), ইউনুছ আলী (১১), সাইদুল (১২), ওসমান মোল্লা (১৩), রাজিব (১১) ও মোবারক (১৭)।