চাটখিলের বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেন আগুন (৪০) মৃত্যুর র্দীঘ সাড়ে ৮ বছর পর নোয়াখালী ১ চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনের সাবেক এমপি ইব্রাহিমসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। আলমগীরের ভাই গোলাম মাওলা বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার বাদী পক্ষের আইনজীবি হুমায়ন কবির শিশির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি বলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রাট আদালতে আমলি আদালত-৭ এর বিজ্ঞ বিচারক নুরজাহান বেগম মামলাটি গ্রহন করেন। মামলায় এইচ. এম. ইব্রাহিমসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক এর পর চাটখিল থানায় পূর্বে এই সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ২২শে আক্টোবরের ভিতর রির্পোট জমা দিতে বলেন। মামলায় এইচ. এম. ইব্রাহিম, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ, মেয়র ভিপি নিজাম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হুদা শাকিল, বেলায়েত হোসেন, শাহজাহান বাবুল, বজলুর রহমান লিটন, রাজিব হোসেন রাজু, আলী তাহের ও ইভুসহ ২৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আবেদনে বলা হয়, আলমগীর হোসেন আগুন বিএনপির নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো জন্য বাড়ী হতে চাটখিল বাজারে আসার সময় ১১নং পুলের পশ্চিম পার্শ্বে পৌছালে এমপি ইব্রাহিম, মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ গংদের হুকুমে আওয়ামীলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন ও নাজমুল হুদা শাকিল মোটর সাইকেলের গতি রোধ করেন। এসময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় আগ্নেয়াশ্র দিয়ে আমার ভাইয়ের সারা শরীর রক্তাক্ত জখম করে। উপর্যুপরি আঘাতে রক্তপাত হতে হতে ভুক্তভোগী রাস্তার উপর ঢলে পড়লে সকল আসামী একসঙ্গে তার হাত পা ও গলায় চাপ দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলা কাটতে গেলে সে বাচাঁর জন্য চিৎকার চেচামেচি করে। কিন্তু তারা ছুড়ি দিয়ে পৌচ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্থান ত্যাগ করে। মামলার আবেদনে আরো বলা হয়, আসামীদের হাতে থাকা অশ্র দেখে এলাকার সাধারন মানুষ ভয়ে দিগ্বদিক পালিয়ে যায়। তারপর স্বাক্ষী সিরাজুল ইসলাম চাটখিল থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষটি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরাদেহ দাফন করতে বলে। এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তি ও স্বাক্ষীরা আলমগীরের মৃত্যুকে পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড বলে মামলা গ্রহন করার জন্য মরাদেহ ময়না তদন্তের জন্য রির্পোট চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রির্পোট প্রদান না করে হুমকি ধুমকি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে ভুক্ত ভোগী পরিবার জানতে পারে থানায় পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। এতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকে ভিন্ন কারন উল্লেখ করে চিহ্ণিত খুনি ও সন্ত্রাসীদের হত্যার অভিযোগ হতে ক্ষমতার জোরে আড়াল করা হয়। মামলার বাদী গোলাম মাওলা বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর থানা পুলিশ চিহ্ণিত খুনি সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার জোরে মামলা থেকে আড়াল করেছে। আমি আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তাই কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারিনি। গত ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের ফলে দেশে আবার স্বাধীনতা ফিরে আসায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছি। চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার পূর্বেই একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সকল প্রমানাদিসহ ফাইনাল রির্পোট আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভুক্তভুগির পরিবার র্দীঘ ৮ বছর পর আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। ওসি জানান আমাদেরকে আদালত যেই ভাবে রির্পোট জমা দিতে বলবেন আমরা সেই ভাবে ২২শে অক্টোবরের মধ্যে আদালতে রির্পোট জমা দিব।