গত শনিবার র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী দেশের পূর্বাঞ্চল হতে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি প্রাইভেটকার যোগে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি তাৎক্ষনিক রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন তাঁতিবাজার হইতে কদমতলীগামী রাস্তার পাশে অবস্থান করে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং সন্দেহজনক গাড়ী তল্লাশী করতে থাকে। তল্লাশীর একপর্যায়ে একই তারিখ রাত আনুমানিক ২২:১৫ ঘটিকায় সন্দিগ্ধ প্রাইভেটকারটি র্যাবের চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছানো মাত্র কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারটিকে সিগন্যাল দিলে চালক প্রাইভেটকারটি থামায়। অতঃপর র্যাব সদস্যরা উক্ত পিকআপে থাকা ০৫ জন আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের পিকআপে গাঁজা আছে। পরবর্তীতে কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেখানো ও বের করে দেওয়া মতে উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনে ০৩টি ট্রাভেল ব্যাগে রক্ষিত আনুমানিক ১৫,০০,০০০/- (পনেরো লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৫০ (পঞ্চাঁশ) কেজি গাঁজাসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম মো. আনোয়ার হোসেন (২৬), পিতা-মো. কবির হোসেন, সাং-কালাকচুয়া, মহিষানবাড়ী, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, মো. খোরশেদ আলম (৫৪), পিতা-মৃত আবু সাঈদ, সাং-শিমুলকান্দি, মধ্যপাড়া, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ, মো. ওসমান গণি (৫৩), পিতা-মৃত আব্দুল ওহাব, সাং-শাসনগাছা, পূর্বপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা, মো. জুয়েল (৪৩), পিতা-মৃত মোখলেছুর রহমান, সাং-বিষ্ণপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা ও মো. ইব্রাহিম (১৯), পিতা-মো. সুরুজ মিয়া, সাং-জামতলা বাজার, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে মাদক বহনে ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।