টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ জানুয়ারী) টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ মিনারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের),সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুন-অর- রশীদ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিকসহ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পুলু।

এ সময় বক্তারা ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে স্মৃতিচারন করেন ও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাঙ্গালী তার স্বরূপ ফিরে পায়।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। ব্রিটেনের বিমানবাহিনীর একটি বিমানে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু।

১০ জানুয়ারি সকালে তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, সরকারি দল কংগ্রেসের প্রথমসারির প্রায় সব নেতা, দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য অতিথি এবং সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর স্বদেশের পথে রওয়ানা দেন তিনি। এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বঙ্গবন্ধু আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসাবে।’

জাতির পিতা এদিন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।