নরসিংদী জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগ সাজসে স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ভূয়া বিল ভাওচার ও ভুয়াপ্রকল্প দেখিয়ে সরকারী কোটি- কোটি টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে নরসিংদী জেলা পরিষদের এই অফিসটির বিরুদ্ধে। বুধবার(৯ অক্টোবর) সকালে জেলা পরিষদ অফিসে গেলে বেড়িয়ে আসে তাদের দুর্নীতির খবর, আর দূর্নীতির কারনে তাদের বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পূর্বে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। আর নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নিজস্ব লোকদের এই অফিসটিতে চাকরী দিয়েছেন অনেক কর্মকর্তারা অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর ঐ সময়ে তাদের দিয়ে এই সরকারী অফিসটিকে একটি লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিনত করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আর বিভিন্ন সময় এই অফিসের দুনীতি বাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গিয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের নাজেহাল হতে হয়েছে এই বাহিনীর হাতে অভিযোগ ভূক্ত ভুগিদের। আর সবচেয়ে বেশী হয়েছে সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর এ পিএস মনিরুজ্জামান মনির কালো টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে। এই বাহিনী ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আন্দোলন কারী ছাত্রদের উপর হামলা নিদের্শদাতা.অর্থদাতাসহ ছাত্র হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ইতি পূর্বে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সাবেক সকল সদস্যরা বিভিন্ন অনিয়ম তুলেধরে অনাস্থাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যার মামলা থাকায় গা ঢাকা দিয়েছেন । আর এসব অভিযোগর পেক্ষিতেই দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই গত ১৯ জুলাই নরসিংদী শহরে জেলা পরিষদ ভবনে হামলা,অগ্নি সংযোগ হয়েছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। কর্মকর্তাদের দাবী অগ্নি সংযোগের কারনে জেলা পরিষদ ভবনসহ সরকারী মালামাল ও গুরুত্ত্বপূর্ন প্রায় ৩ হাজার নথী পুড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে মুল ভবনের টেম্পার নষ্ট হয়ে বড়বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আর খসে পড়ছে প্লাস্টার, বেড়িয়ে পরছে ছাদের রড়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পুড়া ভবনে অফিস করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড়ধরনে দুর্ঘটনা, আশংকা জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রেকৌশলী নুর-ই-ইলহাম দুনীতির বিষয়ে কোন কথাবলতে রাজি না হলেও তিনি বলেন কোঠাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা পরিষদসহ জেলা কারাগার,ইটাখোলা হাইওয়ে থানা,পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ী,মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স,মেহের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ,মাধবদী পৌর সভা কার্য্যলায়,মাধবদী ডাক বাংলাতেও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। অগ্নি সংযোগের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কৃষি বিপনন কার্য্যালয়সহ বেশ কিছু স্থাপনায় ভাংচুর করা হয়। আর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো সমপূর্ন মেরামত করা যায়নি জেলা পরিষদের এই ভবনটি। নাই পানি, বিদুৎ,কম্পিউটারসহ আসবাব পত্র, ধবংসজজ্ঞ পরিস্ক্র করে, বিদুৎ সংযোগ দিয়ে ঝুঁকি পুর্ন ভবনেই আপাতত: কাজ শুরু করার দাবী করেন তিনি। আর অগ্নি কান্ডের ঘটনায় জেলা পরিষদের সরকারী মালামলসহ পুড়েগেছে গুরুত্ব পূর্ন নথী, ফলে প্রায়, ৩০ কোটি টাকার বেশী ক্ষতির কথা জানিয়েছেন তিনি। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফুলকাম বাদশা, জানান জেলা পরিষদ ভবনটি ঝুঁকি পুর্ন কিনা তার এখনো বলা যাচ্ছেনা বিষয়টি মন্ত্রনালয়সহ এক্সপাট টিমকে তলব করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।আন্দোলন কারীদের হামলায় ভাংচুর,অগ্নি সংযোগের কারনে নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে ৮২৬ কয়েদি আর লুট হয়েছে ৮৫ টি আগ্নে অস্ত্রসহ ৮ হাজার গোলাবারোদ। আর এরই মধ্যে ৭ শতর উপরে কয়েদী গ্রেফতার ও আত্ন সমর্পন করে জেল হাজতে আটক রয়েছে। আর লুট হওয়া ৮৫ টি আগ্নে অস্ত্র ও ৮ হাজারের বেশী গুলাবারুদের মধ্যে প্রায় ৭০ টি আগ্নে অস্ত্রসহ ৪ হাজারের বেশী গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে । আর জেলা পরিষদের ভবনে আগুনে সরকারী মালামালসহ গুরুত্বপূর্ন ৩ হাজারের বেশী নথী পুড়ে গেছে আর ঝুঁকি পূর্ন ভবনটি মেরামতের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।