দেশজুড়ে চলছে এখন বিভিন্ন ধরনের নাশকতা অগ্নীসন্ত্রাস। ঠিক এই মুহুর্তে কুষ্টিয়ায় চৌড়হাস হাইওয়ে থানার নাকের ডগায় জব্দকৃত রাখা হানিফ পরিবহনের বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা কুষ্টিয়ায় চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলীর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে বলেন, দেশ ব্যাপী হরতাল ও অবরোধে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নীসন্ত্রাস চলছে। ঠিক এই মুহুর্তে মহাসড়কের উপর দীর্ঘদিন হানিফ পরিবহনের বাসটির কোন সুরাহা না করে কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ বাসটি এভাবে ফেলে রেখেছে। তারা আরো বলেন, কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ টোল তুলবে না গাড়ি পাহারা দিবে। জব্দ কৃত গাড়ীতে আগুন, এ দায় হাইওয়ে পুলিশ এড়াতে পারেনা। জব্দকৃত গাড়ী কেন রাস্তায় অরক্ষিত ছিল, বেওয়ারিশের মত মহাসড়কের উপর ফেলে রেখেছিল বাসটি। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া –ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার আলামপুর ৭ মাইল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল। ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। বাসটি উদ্ধার করে চৌড়হাস হাইওয়ে থানা– পুলিশ জব্দ করে তাদের থানার সামনে মহাসড়কের ওপর রাখে। ওই বাসে বুধবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা জানান, বাসে আগুন ধরেছে, এটা ঠিক। নাশকতা না অন্য কোনো কিছু, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ঘটনাটি থানার সামনে ঘটেছে, তাই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগুন নিভে গেছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামিরুল ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। এদের কাছ থেকে বাসে আগুন দেয়া বাকী সন্ত্রাসীদের নাম জেনেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে এখনি তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। হাইওয়ের থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় নাশকতার মামলা করছেন হাইওয়ে পুলিশের এএসআই তরিকুল। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আটককৃতরা জানিয়েছে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকারের নির্দেশে বাসে আগুন দেয়া হয়। বাসে আগুন দিতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামিরুলই ছাত্রদলের হৃদয়সহ বাকিদের জড়ো করে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকারের বক্তব্য জানা যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। বাস মালিক পক্ষের বরাতে জানা যানা যায়, বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন ঘন্টার বৈঠক চলে মালিক পক্ষের সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলীও। মালিক পক্ষের দাবী আমাদেরকে ক্ষতিপূরন দিতে হবে এবং হাইওয়ে পুলিশের ওসি লিয়াকত আলীর অবহেলায় গাড়ীটি পুড়ে গেল বিষয়টি নিয়ে ধ্রুম্রজাল স্মৃষ্টি হয়েছে। তবে বাসটি অতি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা চলছে।