রবিবার সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব আলহাজ্ব একেএম খুরশেদ আলম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এড. ড. মশিউর মালেক, এড. মনিরুজ্জামান (শ^াশত মনির), ডা. মালেক ফরাজী, ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, শেখ ফরিদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন পশ্চিমা বিশে^র যে সকল দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই নাই তারাই আজকে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই দেশের জনগণ যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে ঠিক একইভাবে এই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। পশ্চিমা বিশ^রা বিশে^র কোন দেশেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। উল্টো গণতন্ত্রের নামে দেশে দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। তাদের পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশে কারো তাবেদারী পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। এদেশের জনগণই আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করবে। মুখ্য বক্তা হিসেবে সংগঠনের সদস্য সচিব আলহাজ্ব এ কে এম খোরশেদ আলম বলেন, আমরা লক্ষ করছি যে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস যাবৎ আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং তাদের বিভিন্ন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রতিনিয়তই বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে আসছেন। তাদের এ সকল বক্তব্য বিবৃতি জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশের জনগণের নিজস্ব স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে নিজের ভোট দেবার অধিকার রয়েছে। জনগণ ই এদেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। বিদেশীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য এদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকির পাশাপাশি এদেশের জনগণের মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে বলে আমরা মনে করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতা বিদেশী নগ্ন হস্তক্ষেপের কারনে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি অমর্যাদাশীল। রাজনৈতিক দলগুলি এবং সরকার নির্বাচনে জনগণের প্রতি আস্থা রাখবেন, জনগণের ভোটাধিকার কে সম্মান জানাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতা আমরা লক্ষ্য করছি যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল এমনকি সরকারের ভিতরেও বিদেশীদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের কারণে আজকে প্যালেস্টাইনে ইসরাইলী আগ্রাসন। প্রায় দশ হাজার মানুষ আজ মৃত্যুবরণ করেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ আজকে এদের কারণেই। ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান, সিয়েরা লিওন সহ-অসংখ্য রাষ্ট্র আজকের ধ্বংস হয়ে গেছে এদের প্রভাব বিস্তারের কারণে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক মতভরে থাকতে পারে বিশৃঙ্খলাও থাকতে পারে তা সমাধানের দায়িত্ব এই দেশের জনগণের। আমরা কোনভাবেই বিদেশি আগ্রাসন মেনে নেব না। আমরা সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই এই বিদেশী আগ্রাসন এবং বিদেশীদের নগ্ন দৌরাত্ম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারাও দেশের জনগণের প্রতি আস্থা রাখুন। অযথাই দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক অপশক্তি ডেকে আনবেন না। যারা রোহিঙ্গা ইস্যু এখনো জিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তারা করছেন না তাদেরকে কেন আমরা ডেকে আনব।