সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পক্ষে সাফাই সাক্ষীর জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মির্জা আব্বাসকে হাজির করা হয়।
এসময় বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আগে যখন আমাকে কারাগারে রাখা হয়, তখন ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। আমার যে বয়স তাতে কারাগারে রাখা যায় কিনা মানবিক দিক দিয়ে দেখুন। আমার যে সাজা হবার তা তো হবেই। মানবিক দিক দিয়ে আমার জামিন দিন।
মির্জা আব্বাসে আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, মামলা চলাকালীন সময়ে দেখবেন আসামি সবসময় হাজির থাকেন। তিনি জামিন নিয়ে কখনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি। আসামি একজন সম্মানীয় রাজনীতিবিদ। তাকে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।
আরেক আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, গত শুনানির দিন আমরা গ্রেপ্তারের ভয়ে আদালতে হাজির হইনি। এসময় বিচারক বলেন, কোর্ট ভয় পাবার জায়গা না। কোর্ট হলো সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আপনাদের কোর্টের প্রতি আন্তরিকতা দেখানোর দরকার ছিল।
এদিকে এদিন মামলাটির যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাফাই সাক্ষীর জন্য আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে সাফাই সাক্ষীর জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এছাড়া মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দিবেন বলে জানান।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জানা যায়, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটিতে ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।