জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বানিয়াবাড়ী মোঃ আব্দুল মজিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। যার কারণে সরকার বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভুক্ত স্বীকৃতি প্রদানও করে শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালু করে দেয়। কিন্তু নদী ভাঙ্গন এলাকাসহ অজপাড়াগায়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ে যায়। যার কারণে পর পর দুই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি বিদ্যালয়টি। কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে না পারায় বিদ্যালয়ের এমপিও ২০১৪ইং সালের ডিসেম্বর মাসে স্থগিত করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার পর থেকে বিনা বেতনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রায় ১২জন শিক্ষক—শিক্ষিকা। এই বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষিকা নুরানী বেগম ও শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে এমপিও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর। আমরা খেয়ে না খেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছি। বিদ্যালয় ছেড়ে যায়নি। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। আশা করি আমাদের কষ্টের কথা জানতে পেরে বিদ্যালয়টিকে পুনরায় এমপিও ভুক্ত করে নিয়ে আমাদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা করে দিবে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাইদ সাদা বলেন, বিদ্যালয়টি একটি নদী ভাঙ্গন এলাকায় গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর নদী ভেঙ্গে নিয়ে যায়। অনেক অংশ ইতিমধ্যে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। চেষ্টা করেছি বাঁশের বেড়াসহ বিভিন্ন ভাবে বাঁধ দিয়ে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য। শিক্ষকরা যদি তাদের বেতন ভাতা পায় এবং নতুন একটি ভবন সরকার যদি করে দেয়। তাহলে গ্রামের সাধারণ মানুষ খুব সহজেই এই বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষার সুফলতা পাবে। স্থানীয়রা বলেন বিদ্যালয়টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য আশার আলো ছিলো। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষক বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছেন। শিক্ষার্থীও কমে গেছে। কিন্তু এখনও যে ১২জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন তারা একটি আশা নিয়ে আছে। সরকার তাদের এমপিও ফিরিয়ে দিবে। আমরাও আশা করি পুনরায় শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ের মাধ্যমে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে। শিক্ষকরা পাবে তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতা। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা বলেন বিদ্যালয়টির বিষয়ে আমার জানা ছিল না। দ্রুত খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।