নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরমান হোসেন রোহান (২২) নামের এক য্বুকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার ছোট ভাই মো: রিপন (২০)। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোরে সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর শীতলক্ষ্যা সেতুর পূর্ব পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। রোহান ও রিপন চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ ঘাটা গ্রামের মো: হোসাইন মিয়ার ছেলে। মাইফুলা কবির কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন রোহান। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ থাকেন। রোহান ও রিপন চাকরির উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মঙ্গলবার ভোরে তাদের রিসিভ করার কথা ছিল তাঁর। ফজরের সময় কাঁচপুর নেমে দুই ভাই তাকে ফোন দেন। তখন তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কাঁচপুর গিয়ে তাদের দেখতে পান না। তখন তাদের নম্বরে কল দিলে চিৎকার শুনতে পান। পাশেই থাকা পুলিশের টহল টিমকে জানালে তাদের সহযোগিতায় পাশের একটি ব্রিজের ওপর দুই ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তিনি আরও জানান, বাস থেকে কাঁচপুর নামার পর কয়েকজন ছিনতাইকারী তাদের পাশের একটি ব্রিজে নিয়ে যান। সেখানে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু বের করে দিতে বলেন। তারা প্রতিবাদ করায় তখন ছিনতাইকারীরা দুজনেরই পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। তবে ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিতে পারেনি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: বাচ্চু মিয়া জানান, রোহানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আহত রিপনের অস্ত্রোপচার চলছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে জানান তিনি।