জেলায় আধুনিক প্রযুক্তিতে সাথী ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। “আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনক ভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ” শীর্ষক মাঠ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক চাষি সমাবেশ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সদরের হাতিল ফকিরপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত। আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম। আখের সাথে সাথী ফসল মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. এ বি এম মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আখলাছুর রহমান, মহা ব্যবস্থাপক (কৃষি), তারেক ফরহাদ, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আখ বিক্রির জন্য সময়মতো পুঁজি না পাওয়া, পোকার আক্রমণে আখ নষ্ট হলেও কীটনাশক না পাওয়া, আখ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সময় বেশি লাগা, বিক্রির পর সময়ের টাকা অসময়ে পাওয়া, দাম কমের কারণে লাভ কম- এসব কারণে দিন দিন আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। এজন্য আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আখ চাষে বিমুখ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে কাজ করছে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে এখন লাভের মুখ দেখছেন আখ চাষিরা। ৯৫ জন কৃষককে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে কৃষক নুর আলম বলেন, নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে প্রথম সাথী ফসল হিসেবে বাধা ও ফুলকপি, টমেটো, কাচা মরিচ, বেগুন এখন ২য় সাথী ফসল হিসেবে হলুদ লাগানো হচ্ছে। কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ১ম রসুন, গুটি পেঁয়াজ, আলু চাষে ভালো ফলাফল পাওয়ায় ২য় সাথী ফসল হিসেবে মুগ ডাল বপন করা হয়েছে। এবার সাথীফসল হিসেবে রসুন ৪ মণ ৩১ কেজি, পেঁয়াজ ৫ মণ ২৭ কেজি, পাকরী আলু ২৭ মণ পেয়েছেন বলে জানান। উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবার ৯৫ জন চাষিকে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।