হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পৌর শহরের সড়ক ও জনপথ রেষ্ট হাউজের সামনে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দুপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাসমান দোকান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে চলে কেনাবেচা ফলে সবসময় জটলা লেগে থাকে মহাসড়কের ফুটপাতে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েন চলাচল কারীরা। ফুটপাত ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার কারনে সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার মাধবপুর বাজারে যানজট লেগে দুরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। ভুক্তভোগীরা জানান, মহাসড়কের পাশে জনগনের চলাচলের যে রাস্তা রয়েছে এ রাস্তার দখল করে ভাসমান ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসে আছে। তাই সাধারন পথচারীরা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। একারনে পথচারীরা প্রায়ই সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ে। গত বছর মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে এস আই হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ফুটপাত ও মহাসড়কের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মহাসড়ক যানজট মুক্ত করেছিল। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো ধীরে ধীরে ফুটপাত দখলসহ মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানঘর। মাধবপুর বাজারে আসা লায়লী পাঠান নামে এক নারী পথচারী জানান, মহাসড়কের ফুটপাত দিয়ে সাধারন লোকজন চলাচল করার কথা। কিন্তু ভাসমান দোকানীরা ফুটপাত এমন ভাবে দখল করে রেখেছে চলাচলের কোন সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় ভীড়ের মধ্যে নারী পথচারীরা অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলে পথচারীরা সহজেই বাজারে যাতায়াত করতে পারত। হাফেজ শাহআলম নামে অপর এক পথচারী জানান, মাধবপুর বাজারে প্রতিদিন ৪টি উপজেলার লোকজন ব্যবসাসহ অন্যান্য কাজে মাধবপুর বাজারে যাতায়াত করে। একারনে বাজারে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু যানবাহন থেকে নামার পর ফুটপাত দিয়ে হাটার আর কোন সুযোগ নেই। সড়কের জায়গায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসেছে। ফুটপাতে হাঁটতে না পেরে যাত্রীরা গাড়ী থেকে নেমে মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করে। মানুষের জটলার কারনে মহাসড়কে চলাচল কারী দুরপাল্লার যানবাহন জটের মধ্যে আটকা পড়ে। আন্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফায়েল হোসেন চৌধুরী অপু জানান, জনচলাচলে দূর্ভোগের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে জটলা লাগার কারণে বিভিন্ন সময় পকেটমার সহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মাধবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ জহিরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে ফুটপাতে দোকান না বসানোর জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে বার বার বলার পরও ব্যবসায়ীরা গুরুত্ব দিচ্ছে না। ভাবে কঠোর হস্তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন। মাধবপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জনচলাচলে দূর্ভোগ তৈরী করে রাস্তার পাশে ব্যবসা করার অধিকার কারো নেই। মাধবপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ফুটপাথে যারা ব্যবসা করে তারা নেহায়েতই গরীব। তাদের জীবিকার জন্য বিকল্প চিন্তা করা দরকার। তবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় জনচলাচলে দূর্ভোগ সৃষ্টি করে এ রকম স্থাপনা ও দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হবে।