যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের কোনো নোটিশ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল বুধবার গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এখানে পূর্ণ খনন কাজ শুরু করেছি। খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের আমি কোনো নোটিশ দেব না। যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে কল্যাণপুরে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারো একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সব বয়সের মানুষের জন্য এই ইকো পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে। এখানে আমরা সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকো পার্ক নির্মাণ করব। মেয়র আতিকুল বলেন, ঢাকা ওয়াসা জলাশয়ের এই জমি অধিগ্রহণ করেছে ১৯৮৯ সালে। তখন ডিসি অফিস থেকে জমির মালিকদের টাকা দেওয়া হয়েছে। ওয়াসা তখন উচ্ছেদ করেনি ফলে এখানে অবৈধভাবে অনেকে ঘরবাড়ি করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা দাবি করছেন অধিগ্রহণের টাকা পায়নি তাদেরকে ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন ডিএনসিসি মেয়র। মেয়র আতিকুল ইসলামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রিটেনশন পন্ড থেকে সালমা আক্তার নামে একজন নিজেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যান। সেখানে তার ৪০টি ঘর ছিল যেগুলো নিজেই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ পরিদর্শনের সময় ডিএনসিসি মেয়র সালমা আক্তারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মেয়র বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সালমা আক্তারের মতো নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যান। নগরের জন্য, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। সালমা আক্তারের মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। এমন মানুষদের নগরবাসী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রিটেনশন পন্ডের পাশে জলাশয়ে বিএডিসির ভবন নির্মাণ হলে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে। তিনি বলেন, এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে, বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজতলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবে না। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, পাশেই বিডিআর মার্কেট নামে অবৈধ দখল রয়েছে। এখানে বিডিআর মার্কেটের নাম দিয়ে চাঁদাবাজি চলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ করেছি। এটি দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে।