প্রতিটি সফল মানুষের পেছনে সংগ্রামের গল্প লুকিয়ে আছে’মানবসেবায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখবো-দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মিডিয়া পাটনার ও যুগ্ম-সম্পাদক, সিও নির্বাহী পরিচালক মানবতার বন্ধু সামছুল আলম। “জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর” বাংলা ভাষায় এই প্রবাদটিকে সামনে রেখে জনদরদী সমাজ সেবীদের পথ চলা। ঝিনাইদহ তথা সারাদেশে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে তেমনই একজন দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মিডিয়া পার্টনার ও যুগ্ম-সম্পাদক, সিও প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সামছুল আলম। যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে মানুষের কল্যাণ ও আত্মমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন পরোপোকারী ও সমাজসেবক,সফল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। অতীতে এদেশ তথা বিশ্বের বুকে যত সমাজ সেবী ও জন দরদী ছিলেন তাদের জীবন পর্যালোচনা করলে মুলতঃ এই প্রবাদটির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বলে গেছেন, “সূর্য আমি ঔ দিগন্তে হারাবো, অস্তমিত হবো, তবুও ধরনীর বুকে চিন্হ রেখে যাব”, তার এই উক্তিটিই অনেকে মূলমন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাইতো ধরনীর তরে কেউ ধার্মিক, কেউ সমাজ সেবা, কেউবা ব্যবসা বানিজ্যেও ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন তাদের স্ব স্ব কর্ম পথিকৃত। আমরা আজ এমনি একজন লোকের সেই সাক্ষাত পেয়েছি যিনি নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার সেই বলিষ্ট কন্ঠকে মাথায় রেখে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রেখে যাবার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে করে মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে সম্মানের সাথে স্বরণ করে। তেমনি একজন পরোপকারী, ন্যায় পরায়ন, সমাজের গুনাবলী, সময়ের শ্রেষ্ট সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারমথুরাপুর গ্রামের, পিতাঃ মৃত মসলেম উদ্দিন, মাতাঃ সুফিয়া খাতুন, সাত ভাই দুই বোন, নয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছেলে সামছুল আলম। তিনি হাটি হাটি পা পা করে দ্রুত নিজেকে সমাজ সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে তথা সমগ্র দেশ ব্যাপি সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখা এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মিডিয়া পাটনার ও যুগ্ম-সম্পাদক, সিও প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সামছুল আলম। আর্ত মানবতার সেবার আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠা এক জীবন্ত কিংবদন্তী তিনি। কৃষি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কৃষক এবং জনসাধারণের উন্নয়ন সহ নানাভাবে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কষ্ট লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া সামছুল আলম ১৯৬৪ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার পার মথুরা পুর গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করার স্পৃহাই আসক্ত হন তিনি। তাই ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ” সোসিও ইকোনমিক হেলথ্ এডুকেশন অর্গানাইজেশন (সিও) নামের একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এর পর থেকেই তারা সমাজের মানুষের কল্যানে কাজ করার লক্ষে প্রথমেই নজর দেয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা ও স্যানিটেশন খাতে। গ্রামীন জনপদের অধিকাংশ বাড়ীতেই স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ও নিরাপদ খাবার পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করে তারা। পাশাপাশি পরিস্কার পরিছন্নতা,পুষ্টিকর খাদ্য, নারীর স্বাস্থ্য সেবা সহ বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রমে এলাকায় সুনাম অর্জন করেন। এছাড়া বেকার ছেলে মেয়েদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে পুকুর, ডোবা ও পতিত জলাশয় গুলোতে মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দুর করে এলাকায় সাড়াও জাগায় সিও। এভাবেই বাড়তে থাকে সংগঠনের কাজের পরিধি। আরো জানা যায়, সংস্থাটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মহিলা উদ্যোগী ও উপকারভোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন প্রকল্প ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও দক্ষ লোকবল গড়ে তোলার লক্ষে সংস্থাটি গড়ে তুলেছে নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টার। জানা গেছে, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এভাবেই সিও সংস্থা মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের ৪৩ টি জেলাতে কাজ করে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে সি ও’র নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম বলেন, তিনি সেবার ব্রত নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা সহ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে দেশকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে সিও সংস্থা।
দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জনাব রবিউল ইসলাম বলেন, নিঃসন্দেহে সিও সংস্থা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যানে বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে মানুষের কস্ট লাঘবের জন্যে কাজ করছে। যা সিও সংস্থা অবশ্যই প্রসংশার দাবীদার। এবং প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সামছুল আলম একজন সৎ ও ভালো মানুষ।