নরসিংদীর মাধবদী আমদিয়া ইউনিয়নের মাথরা গ্রামের ৬০ বছরের পুরনো মাথরা বাইতুন নূর জামে মসজিদের পরিবেশ নষ্ট করাসহ জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার (২৯ এপ্রিল) মাধবদী থানায় মসজিদের মুসল্লীগণের গণস্বাক্ষরকৃত একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সরজমিন গিয়ে জানা যায়, মাথরা জামে মসজিদটি এই গ্রাম তথা আশেপাশের এলাকার প্রথম মসজিদ। মসজিদের সীমানা ঘেঁষে বিশ থেকে পচিশ বছর আগে বাড়ির জমি ক্রয় করেন মর্জিনা ও তার স্বামী হারিছ মিয়া। তাদের ক্রয়কৃত জমির সীমানা ছাড়িয়ে মসজিদটির খালি জমি ভোগদখলের চেষ্টা করে আসছেন তারা।মসজিদের মুসল্লীরা বিভিন্ন সময়ে মর্জিনার এমন কর্মকান্ডে বাঁধা দিলে শুনতে হয় অকথ্য ভাষায় গালাগালি এমনকি মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলার হুমকিও। গত ২৬ রমজান মসজিদের ব্যবহৃত টয়লেটের ময়লা-আবর্জনা বের হওয়ার পাইপ ও টয়লেটের চাক ভেঙে দেন মর্জিনা ও তার স্বামী। এতে মসজিদের ইমাম এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীরা দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়েন।স্থানীয়দের অভিযোগ, মর্জিনা এই এলাকায় বসবাস শুরু করার পর থেকেই পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকেন। সবসময় তু”ছ ঘটনায় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করাটা মর্জিনার নেশা। মর্জিনার বেফাঁস গালাগালি ও আচার-আচরণের জন্য প্রতিবেশিরাও তার বাড়িতে যাতায়াত ও কথাবার্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।মাথরা বাইতুন নূর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া বলেন, মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়া আর মিথ্যা মামলা করা মর্জিনার নেশা। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারকে জানিয়েও মর্জিনাকে থামানো যায়নি। মাধবদী থানায় মসজিদের মুসল্লীদের গণস্বাক্ষরকৃত একটি অভিযোগ করা হয়েছে। মর্জিনা কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথাবলতে রাজি হয়নি। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবদী থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি)রকিবুজ্জামান বলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।