মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় মহাসড়কের ওপর যানবাহন থামিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিক ট্রাক চালক ও স্থানীয় যানবাহনের চালকরা পার্কিং চার্জ নেওয়ার নামে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন মেসার্স কে.টি.আর এন্টারপ্রাইজ এর বিরুদ্ধে। জানা যায়, পাটুরিয়া ফেরিঘাটে মিনি টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনালের পার্কিং চার্জ আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএর নিয়ম অনুসারে ইজারাদাররা শুধুমাত্র টার্মিনালে অবস্থানকারী যানবাহন থেকে পার্কিং চার্জ নিতে পারবে। আর ফেরী পারাপারের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের পাকিং চার্জ আদায় করে সরাসরি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সেই ইজারাকে পুঁজি করে মহা সড়কের পাশে অফিস বসিয়ে টোকেনের মাধ্যমে প্রতি রাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চাঁদাআদায় করছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান ও শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলালউদ্দিন আলাল। সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়াঘাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী অফিস বসিয়ে ট্রাক, হ্যালো বাইক ও সিএনজি থেকে সাদা কাগজে হাতে লেখা রশিদের মাধ্যমে পার্কিং এর নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ট্রাক থেকে ১০০, সিএনজি ও হ্যালো বাইক থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। যা দিন শেষে গিয়ে দাড়ায় প্রায় লক্ষধিক টাকা। এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। রহিম খান ও আলাল এর মূল নেতৃত্ব দিলেও এই চাঁদাবাজির সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে রহিম খানের দূর সম্পর্কের ভাগনে হেলাল। সব কিছু জানার পরেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন অদৃশ্য কারণে চুপ করে বসে আছে। এ যেন দেখার কেউ নাই। তবে কয়েক জন গাড়ির চালক কিছু দিন আগে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিল তাদের এখন আর এ রোডে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ট্রাক ড্রাইভার বলেন, ঘাট এলাকা থেকে প্রতিদিন তারা বালু নিয়ে যায় বিভিন্ন এলাকায়। এর জন্য প্রতি বার তাদের বাড়তি গুনতে হয় ১০০ টাকা। এত টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। সিএনজি ও হ্যাঁলো বাইক চালকরা সড়ক ও জনপথ এর রাস্তায় দড়িয়ে লোক উঠা নামা করালেও চাঁদা দিতে হয় রহিম খান ও আলালকে। মেসার্স কে.টি.আর এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার হেলাল বলেন, আমরা ইজারার এরিয়া থেকেই টাকা উঠাই। গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে নেই না, ৫০ টাকা করে নেই। গাড়ি যতবার ঘাটে প্রবেশ করে ততবার নেই। বি. আই ডব্লিউ টিএর পোর্ট অফিসার এস এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, নিয়ম বর্হিভূত ভাবে কেউ কোন ইজারা আদায় করতে পারবে না। যদি কেউ নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইজারা আদায় করে তদন্ত সাপেক্ষে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।