প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রাথমিক কাজ শুরুর তিন বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রবাসীদের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া থমকে ছিল।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কবে নাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
জানা গেছে, প্রবাসীদের পক্ষ থেকে যেসব আবেদন পাওয়া গেছে তার মধ্যে কয়েকশ আবেদন নিয়ে দেশে সরেজমিন তদন্তও করা হয়েছে। কিন্তু দেওয়া যায়নি এনআইডি।
তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ছয় দেশ থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটার নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার পর তাদের স্থানীয় ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এরমধ্যে সাড়ে চার হাজার আবেদনের তদন্ত বাকি রয়েছে; প্রায় ৩০০টি আবেদন অনুমোদন পেয়েছে আর ২০০ আবেদন বাতিল হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এতদিন যেহেতু আবেদন পেয়েও এনআইডি দেওয়া যায়নি; তাই কমিশন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রবাসে এনআইডি দেওয়ার জন্য ইসির দক্ষ লোকবল পাঠানোর বিষয়টি আলোচনা করে কমিশন সভায় কোনও নির্দেশনা আসতে পারে।
এই কর্মকর্তা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এনআইডি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও সেবা দেওয়া হতে পারে।
সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানান তিনি।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৪৮৭ জন, সৌদি আরবের ১৬২১ জন, সিঙ্গাপুরের ৩৯১ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৩৭৫ জন, যুক্তরাজ্যের ১২১৬ জন ও মালদ্বীপের ৪৮ জনের আবেদন করেছেন।
২০১৯ সালের নভেম্বরে কে এম নূরুল হুদা কমিশন অনলাইন নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করে। পরে করোনা মহামারিতে সেই উদ্যোগ থমকে যায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি চালাচালির পর সেই কাজে গতি আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। শিগগিরই এই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখবে এমন আশা ইসি কর্মকর্তাদের।