নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানকে গুলির ঘটনায় অবশেষে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশীদ খান এ মামলা দায়ের করেন। ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তিনি।আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আরিফ সরকার, মহসিন মিয়া, ইরান মোল্লা, শাকিল, হুমায়ুন ও নুর মোহাম্মদ।শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, এ ঘটনায় প্রাইভেটকারসহ নুর মোহাম্মদ নামের আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ নিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক মামলার প্রধান আসামি আরিফ সরকারকে এখনো থানা পুলিশের কাছে হন্তান্তর করা হয়নি বলেও জানান তিনি। ঘটনার শুরু থেকে তিনজনের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও এখন ছয়জনের নামে কেন মামলা করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন,গতকাল চেয়ারম্যান আরও তিনজনের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রাইভেটকার ও চালকের প্রসঙ্গে ওসি বলেন,তারা প্রথমে মোটরসাইকেলে করে এলেও পরে প্রাইভেটকারে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।পুলিশের ধারণা, আসামিরা ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে যায়। মামলার প্রধান আসামি আরিফ ঘটনার আগের রাতে যে নম্বর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিল, তার কোড নম্বর ০০৯১। তবে ডিবি পুলিশ বলছে, তাকে ঢাকার শেওড়াপাড়ার একটি বাসা থেকে আটক করা হয়েছে।এদিকে গত শনিবার রাতে যে চারজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি ফিরোজ তালুকদার।