পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বৈধ নিয়মকানুন মেনে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালকরা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পদ্মা সেতুতে বাইক চলার দাবি ও বাংলাদেশের সকল বাইক চালক’ নামে ফেসবুক গ্রুপের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরাও গর্বিত অংশীদার’ উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘আমার টাকায় আমার সেতু’। তাহলে আমার সেতুতে আমরা কেন মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে পারব না? পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল, এটি সাময়িক। কিন্তু ৮ মাস অতিবাহিত হলেও মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই আজকে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অজুহাতে বাইক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অন্য যানবাহন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সেগুলো বন্ধ করা হয়নি। দক্ষিণবঙ্গের লাখ লাখ বাইকারের স্বপ্ন পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চালিয়ে সকালে ঢাকায় অফিস করে বিকেলে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া, যা প্রধানমন্ত্রীরও চাওয়া ছিল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাইকারের জন্য আজও অধরা।
তারা বলেন, যে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু ট্রলার, লঞ্চ ও ট্রাকে বাইক পারাপার তার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পদ্মা নদী পার হতে লঞ্চে ৪৫০ টাকা ও ট্রাকে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে; যা বাইকারদের বহন করা কষ্টসাধ্য।
পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ করায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। তারা বলেন, তাই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সরকার আরোপিত সকল বৈধ নিয়মকানুন মেনে বাইক চলাচলের অনুমতি দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে অবিলম্বে দাবি মানা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেন তারা।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান দীপন, সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম (বাবু), সদস্য সচিব এস এম নাইম, সদস্য হোসেন আরাফাত, শুভ্র সেন, আরিফুর রহমান ও মো. রায়হান প্রমুখ।