দক্ষিন এশিয়ার মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী ঘেরা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গত এক সপ্তাহে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও ঘন কুয়াশায় প্রচন্ড শীতের প্রকোপে চরম দুর্ভোগ ও অস্বস্তি বিরাজ করছে জনগন। বিকেল থেকেই শুরু হয় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা পড়া। ভোর থেকে বেলা ১২/১টায়ও দেখা যায় না সূর্যের আলো। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে গবাদি পশু পালন কারী ফুটপাত পড়ে থাকা ছিন্নমূল জনসাধারণ। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধ । অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় হতাশায় ভূগছেন অনেকেই। সরকারি কম্বল পৌঁছলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়াও স্থানীয কিছু সংগঠন এগিয়ে আসলো তা নিতন্ত কম। শীতের দাপটে সকালে ও সন্ধার পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় হরহামেশা। উপজেলার নদী তীরবর্তী ও চবি ও উপজেলার উত্তরে পাহাড়ী এলাকায় শীতের প্রভাব বেশি পড়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সকাল ও সন্ধ্যার পর হাটবাজারে লোকসমাগম কম বলে জানান দোকানীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুস্নি চাকমা জানান, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতের প্রকোপে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়া প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।তাই অভিভাবকদের সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারি ভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল বরাদ্দের ব্যাপারে উপজেলা ইউএনও ও পৌর প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম বলেন, অসহায় শীতার্ত ও দুস্থদের জন্য সারে ৭হাজার ৩শত ৫০পিস কম্বল পেয়েছি, তা ১টি পৌরসভায় ১৪টি ইউপি এর চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
###