চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন ভূমি ও স্হাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে মোবাইল কোর্ট। ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি: তারিখ রোববার এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
চট্টগ্রামের ২০ মোহরা শিল্প এলাকা, কালুরঘাট, চাদগাঁও- এ অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ৫.০৬ একর জমিসহ স্থাপনা (প্রাক্তন মালটিপল জুস কনসেনট্রেট প্ল্যান্ট, এমজেসিপি এর জায়গা) সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে মাসিক ভাড়া হিসেবে লেকটাচ কর্পোরেশন-কে ০৩ (তিন) বছরের জন্য ভাড়া প্রদান করে ১৭/০৬/২০১৯ খ্রি: তারিখে চুক্তি সম্পাদন করা হয়।
উক্ত ভাড়া চুক্তির মেয়াদ ১৬/০৬/২০২২ খ্রি: তারিখে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভাড়াটিয়া ভাড়া প্রদান না করে অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। ভাড়াটিয়ার নিকট বর্তমানে জামানতসহ বকেয়া ভাড়া বাবদ ট্রাস্টের ১,৮৩,৭১,৪৪৯/-(এক কোটি তিরাশি লক্ষ একাত্তর হাজার চারশত ঊনপঞ্চাশ) টাকা পাওনা রয়েছে। ভাড়াটিয়া কর্তৃক বারবার অঙ্গীকারনামা দেয়া সত্বেও বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। তাকে সহায়তা প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহাবুবুর রহমান। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চান্দগাঁও থানার মোট ৬৫ জন পুলিশ সদস্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত আয়ের অর্থ দ্বারা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পুনর্বাসন এবং তাঁদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।