যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দাবি করেছে, ওই তরুণ ছুরি হাতে পুলিশকে আঘাত করতে আসছিলেন। তবে অন্য সূত্র জানিয়েছে, পুলিশই ওই তরুণকে ধাওয়া করছিল এবং তরুণের হাতে তখন একটি বই ছিল।
মিডলসেক্স কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস দাবি করছে, ২০ বছর বয়সী সাইদ ফয়সাল একটি ছুরি নিয়ে আশপাশের বিভিন্ন ব্লকে অফিসারদের ধাওয়া করছিলেন এবং পুলিশের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে ছুরি নামাতে বললে তিনি তা অস্বীকার করেন। তার হাতে তখন ১২ ইঞ্চির ছুরি ছিল। কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান বলেন, এ অবস্থায় একজন কর্মকর্তা কম প্রাণঘাতী স্পঞ্জ রাউন্ড ছোড়েন। তবে তাকে থামানো যায়নি। তিনি অফিসারদের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। তখন একজন অফিসার গুলি চালান। এরপর আহত ফয়সালকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে রেনি নামের এক নারী জানিয়েছেন, তার অফিসের লোকেরা গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাইরে এসে দেখি একজন দৌড়াচ্ছেন, আর তার পেছনে অনেক পুলিশ। দৌড়ানো তরুণ খালি পায়ে এবং শার্টবিহীন অবস্থায় ছিলেন, তার হাতে তখন একটি বই ছিল।’ ঘটনার ব্যাপারে যৌথ এক বিবৃতিতে কেমব্রিজের মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকী এবং সিটি ম্যানেজার ই-আন হুয়াং জানিয়েছেন, তারা গুলির ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মৃতের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের চিন্তা ও সমবেদনা জানাচ্ছি। ঘটনার ব্যাপারে জেলা অ্যাটর্নি অফিস সিটি ও পুলিশ বিভাগের পূর্ণ সহযোগিতায় একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করবে। আমরা সব তথ্য এবং ফলাফলগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পর্যালোচনা করব। আমাদের সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের নিরাপত্তা এবং মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য আমরা এ মামলা থেকে শিক্ষা নিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ জানা গেছে, ফয়সালের দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব বোস্টনে লেখাপড়া করতেন। তার পরিবারের প্রায় সবাই বোস্টনে বসবাস করেন।
###