ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার নেতৃত্বে ছিলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান। তার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের জঙ্গি দল রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে পিপার স্প্রে করে দুই জনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মশিউর রহমান ওরফে আইমানকে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একাধিক গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ত্রিশালের প্রিয়জনভ্যানে হামলার মতোই সহযোগীদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু কাশিমপুর থেকে ঢাকার আদালতে আনা-নেয়ার সময় প্রিজনভ্যানে হামলা করাটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে তাদের। তাই পরিকল্পনা করেন আদালতপাড়াতে সহযোগীদের ছিনিয়ে নেয়ার। এর আগে সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনতাই অপরারেশনে নেতৃত্বদানকারী নাম আমরা জেনেছি। অপারেশনের বেশ কয়েকজন সহযোগীকেও শনাক্ত করা হয়েছে।
অপারেশনের পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছে তাও আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না।
আসাদুজ্জামান বলেন, অপরারেশনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার আস্কারি বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য। নেতৃত্ব না দিলেও মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমরা শনাক্ত করেছি, কিন্তু নামটা আপাতত বলতে চাচ্ছি না।
জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্বদানকারীসহ সবাইকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। এজন্য গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতা আশা করেছেন সিটিটিসি প্রধান।
নবচেতনা /এমএআর