উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সদ্য বিদ্যায়ী (সাবেক) এক চেয়ারম্যান নিজ দলের কর্মীদের হাতে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যলয়ের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরধরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্ধ ও সংঘর্ষ চরম আকার ধারন করে। রোববার সকাল থেকে দুই গ্রুপের শ,শ নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হামলা-পাল্টার জন্য সশস্ত্র আবস্থান নেয়। জানাগেছে, আগামী ২৯ নভেম্বর কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে। এর ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিং আরো সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে গত শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোপালঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান এম.পির সামনেই উপজেলার কিছু ত্যাগী নেতাকর্মীরা মাইক কেড়ে নেয় এবং তারা হাইব্রিড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। সেই সাথে তারা দাবী তোলেন বিএনপি জামায়েত নেতাদের আওয়ামী লীগের কোন পদ দেওয়া যাবে না। এক পর্যায়ে সভা পন্ড হয়ে গেলে প্রায় ৪৫ মিনিট পর শুরু হলে সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান এম.পি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত সভা শেষ করেন। এ সময়ে কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের সদ্য বিদায়ী সাবেক চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমানকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কিছু নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারপিঠ করে। এরই জের ধরে রোববার সকাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরফত হোসেন লাবলু ও সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমানের শ.শ লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপজেলার দিকে আসতে চাইলে পুলিশ ও র্যাব তাদের গতিপথে বাঁধা দিলে উপজেলার দুই পার্শে¦ (০১ কিলো দুরে ) তারা অবস্থান নেয়। উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান,সহকারি কমিশনার ভূমি মিলন সাহা,অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও ওসি তদন্ত মো. ফিরোজ আলমের সমজতায় পরিস্তিতি স্বাভাবিক হয়। অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম জানান, পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে। আইন শৃংখøার অবনতি করলেই আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।