সুনামগঞ্জে আদালত চত্বরে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার যানবাহন। বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বাস,পিকআপ,প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এর সংরক্ষণ শেড না থাকার কারণে অযত্ন আর অবহেলায় ও মামলার দীর্ঘ সূত্রতার কারণে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে ফেলে রাখায় রোদ বৃষ্টিতে ভিজে দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব যানবাহন। এ যেন সরকার কা মাল গঙ্গা মে ঢাল। মামলা নিষ্পত্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক নিলাম এর মাধ্যমে বিক্রি করা হলেও সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। অপরদিকে নিলামকারী লক্কড় ঝক্কর যানবাহন কিনে পরছেন বিপাকে। বেশিরভাগ যানবাহন বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকায় ইঞ্জিন, বডি কোন কাজেই আসছেনা। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের জামাই পাড়াস্থ মোটরসাইকেল মেকানিক খসরু জানান, বিশেষ করে আদালতে জব্দ করা শত শত মোটর সাইকেল সরকারী ভাবে টিনশেড নির্মাণ করে সংরক্ষণ করা জরুরি। কারণ এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারে। আমাদের কাছে যখন নিলামে ক্রয় করা মোটরসাইকেল মেরামতের জন্য নিয়ে আসেন, তখন দেখা যায় বেশির ভাগ মোটর সাইকেলের দামি দামি যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ মেরামতের অনুপযোগী হওয়ার কারনে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেসবিহীন, চুরি, মাদক ,ছিনতাই মামলায় আটক করা যানযাহনগুলি মামলা নিষ্পত্তির পর নিলামে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ সরকারী রাজস্ব আয় হয়। সরকারী সম্পত্তি হিসাবে যানবাহন গুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। নিলামে ক্রয় করা মোটরসাইকেল নিয়ে ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া জানান, সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালত থেকে নিলামে এপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল কিনে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি আরও জানান মোটরসাইকেলটি ২০১৯ সালে জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ বৎসর মোটরসাইকেলটি আদালত চত্বরে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকার দরুন ইঞ্জিনসহ পুরো মোটরসাইকেল অকেজো হয়ে গেছে। তিনি মোটরসাইকেলটি ৩৮ হাজার পাঁচশত টাকায় নিলামে ক্রয় করেছেন বলে জানান। কিন্তু পুরো মোটরসাইকেল অকেজো হওয়ার কারনে নিলাম মূল্য সহ প্রায় একলক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। যা বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যে বিক্রি করা যাবেনা মর্মে জানান। সারা দেশে হাজারো কোটি টাকার বিভিন্ন মামলায় আটককৃত যানবাহন নিলামে বিক্রি করে সমৃদ্ধ হতে পারে সরকারি কোষাগার যদি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং পর্যাপ্ত সংরক্ষণ শেড নির্মাণ করা হয়।