অসাধু ডিম ব্যবসায়ীদের জরিমানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রোববার দুপুরে ডিম ও মুরগির আড়দতারদের সঙ্গে বৈঠকে এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়েনি। তবে ঢাকায় প্রতি পিস ডিম আনার খরচ বেড়েছে তিন থেকে চার পয়সা। তবে ব্যবসায়ী সমিতি দাম বাড়িয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।
মহাপরিচালক আরো বলেন, অর্গানিক সিল মেরে রাজধানীতে দ্বিগুণ বা আড়াইগুণ দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে। ক্রয় রশিদও গোপন করছেন অনেক ব্যবসায়ী। গোপনে ফোনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী আহ্বান জানান, যেকোনো পণ্যের দাম কারসাজিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে খতিয়ে দেখার।
এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অস্থির হয়ে ওঠে ডিম ও মুরগির বাজার। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২১০ টাকা। আর ডিমের হালি গিয়ে ঠেকে ৬০ টাকায়।
ভোক্তা যখন দিশেহারা তখন বাণিজ্যমন্ত্রীর ডিম আমদানির হুঁশিয়ারি আর ভোক্তা অধিকারের অভিযানে কমতে শুরু করে ডিমের দাম।