গোপালগঞ্জে এক বিধোবা মহিলা ও তার এতিম শিশু বাচ্চাদের নির্মাণাধীন বিল্ডং ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে এতিম বাচ্চাদের বিধোবা মা সোহেলী শারমিন বাদী হয়ে নিলিমা আক্তার মায়া, সোনাবান ও ঝন্টু শেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত আভিযুক্ত কাউকে গ্ৰেফতার করেনি।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, অভিযুক্ত নিলিমা আক্তার মায়া, বোন সোনাবান ও ভগ্নিপতি ঝন্টু শেখ প্রভাবশালী ও বেপরোয়া, তাদের গ্ৰামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া মধ্য পাড়া গ্ৰামে। এছাড়াও নিলিমা আক্তার মায়া ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে আয়া পদে চাকুরি করেন। তিনি এতিম শিশুদের নির্মাণাধীন ঘরটি দাঁড়িয়ে থেকে লোকজন দিয়ে ভেঙ্গেছেন।
মামলার বর্ণনা ও বাদী সোহেলী শারমিনের সাথে কথা বলে জানাযায়, গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কারারগাতি মহল্লায় আমার স্বামীর ক্রয়কৃত ১০২ নং কারারগাতী মৌজার বিআরএস ৯০৫ নং দাগের ৫ শতাংশ ভূমিতে এতিম ২ টি শিশু বাচ্চা নিয়ে বসবাস করার জন্য ছোট একটি বিল্ডিং ঘর নির্মান শুরু করি। বেশ কিছুদিন ধরে নিলিমা আক্তার মায়া নামের এক বেপরোয়া মহিলা আমার কাজে বাধাসহ হুমকি ধামকি দেয়। এর পর গত ১৮ আগষ্ট রাতে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ৫ টন রড ও ১শ বাস্তা সিমেন্ট লুট করে নিয়ে যায়। পর দিন ১৯ আগষ্ট ২০২২ তারিখ সকালে নিলিমা আক্তার আক্তার মায়া, তার বোন সোনাবান ও ভগ্নিপতি ঝন্টু শেখসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে আমাদের নির্মাণাধীন বিল্ডিং ঘর ভেঙ্গে দেয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমার এতিম শিশুদের খুন করার হুমকি দেয়।
সোহেলী শারমিন আরো বলেন, নিলিমা আক্তার মায়া ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে আয়া পদে চাকুরি সুবাদে পরিচালকসহ উপর মহলে রয়েছে তার হাত। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনৈতিক চাহিদা পূরণ করে হাতিয়ে নেয় ওই দপ্তরের জনবল নিয়োগ সহ টেন্ডারের দালালী। ওই সকল অনৈতিক আয় দিয়ে হয়েছেন কোটিপতি। গ্ৰামের বাড়ি নিজড়ায়, গোপালগঞ্জ ও ঢাকায় কিনেছেন, ফ্লাট ও যায়গা। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে রেখেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। তিনি আমার স্বামীর আপন বোন হয়েও ক্ষমতা ও টাকার জোরে এখন আমার এতিম বাচ্চাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।
ওই এলাকার কাউন্সিলর জুবায়ের ইসলাম ঝন্টুর জানান, তাৎক্ষণিক সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম, নীলিমা আক্তার মায়া সেটি না মেনে নির্মাণাধীন বিল্ডং ঘরটি ভেঙে দেয়।
এবিষয়ে নিলিমা আক্তার মায়া বলেন, সাংবাদিকদের কাছে সব কথা বলতে আমি বাধ্য নই, আমার নামে মামলা হয়েছে থানা পুলিশ বুঝবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।