চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে দুই বাল্কহেডের সংঘর্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বাল্কহেডে থাকা ১১ জনের মধ্যে ৬ জন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠেন। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের ৪ জনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ।
সোমবার ভোরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেববাজার মমিনপুর নামক স্থানের ডাকাতিয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। খবর জানার পর চাঁদপুর পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার খবর শুনে আশপাশের লোকজন ভিড় জমান।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার আউয়াল মাঝি, আল-আমিন, নজরুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, নাছির উদ্দিন। তারা সবাই মাটিবাহী বাল্কহেডে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন, জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস, দিদার। তারা সবাই ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের শ্রমিক।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেববাজার মমিনপুর নামক স্থানে ডাকাতিয়া নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে ইকবাল হোসেন-১ নামক বাল্কহেডের সঙ্গে অপর বাল্কহেডের সংর্ঘষ হয়। এ সময় মাটিবাহী বাল্কহেডে থাকা ১১ জনের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা পাঁচজনের মৃত্যু হয় ও বাকি ৬ জন সাঁতার দিয়ে পাড়ে উঠে যান।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান জানান, আমরা এ পর্যন্ত বাল্কহেড থেকে ৫ জনের মরদেহ পেয়েছি। তবে বাল্কহেডটি এখনো নদীতে ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের ৪ জনকে আটক করেছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।